TASAUF FOUNDATION

A Nonprofit & Nonpolitical Organization, Under Societies Registration Act 1860.

TASAUF FOUNDATION

A Nonprofit & Nonpolitical Organization, Under Societies Registration Act 1860.

Frequently Asked Questions (FAQ)

How can we help you?

You can also browse the topics below to find what you are looking for.

উত্তর:- মেডিটেশন বা ধ্যান হচ্ছে মন দ্বারা বিশ্বজগত ও দেহজগতকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন বা নিরীক্ষন করা। মানুষের ব্রেইনে প্রতিদিন নব্বই হাজার ইনফরমেশন বা ইমেজ মনের মধ্যে অবতরণ করে। এই অবতারিত ইনফরমেশনকে সিনক্রোনাইস করে অপ্রয়োজনীয় বা ঋণাত্বক সবকিছুকে আলাদা করে, প্রকৃতি ও প্রয়োজনীয় সবকিছুকে একাগ্রচিত্তে ধণাত্মক শক্তিতে পরিনত করে শক্তির বস্তুসত্বায় প্রকাশ করাই মেডিটেশন।

মানুষ ঘুমালে স্বপ্ন দেখে। কেন স্বপ্ন দেখে? মানুষ যখন ঘুমায় তখন তার ইন্দ্রীয়সমুহ যথা চোখ, কান, মুখসহ অন্যান্য সকল ইন্দ্রীয়ের কাজ বন্ধ থাকে, ফলত ব্রেইন সালীম বা প্রশান্ত অবস্থায় থেকে মনে ইনফরমেশন অবতরণ করতে থাকে, তখন মানুষ স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন মানুষের অন্তর্দৃষ্টির কর্ম। আমরা কেউ স্বপ্ন বুঝতে পারি, কেউ বুঝতে পারি না, কারো স্বপ্ন সঠিক হয়, কারোটা সঠিক হয় না। আমাদের (জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার) যোগ্যতার কারণে এই পার্থক্য ঘটে থাকে। মানুষের (জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার) স্তরের পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন পর্যায়ের মেডিটেশন হয়ে থাকে।

মোরাক্বাবা বা Meditation: জাগ্রত অবস্থায় সমস্ত ইন্দ্রীয় সমুহের কর্ম বন্ধ করে ব্রেইনকে সালীম বা প্রশান্ত অবস্থায় এনে জাগ্রত অবস্থায় ব্রেইন বা লৌহমাহফুয হতে মনে ইনফরমেশন প্রেরণ করাই মেডিটেশন।।

তাফাক্কুর বা contemplation: আল্‌ ক্বোরআন বলেঃ যা আছে এই বিশ্ব ভান্ডে তা আছে নিজের দেহভান্ডে। আফাক বা বিশ্বজগতের স্রষ্টার নিদর্শণ সমুহের সাথে নিজের দেহভান্ডে স্রষ্টার নিদর্শণসমুহের সামঞ্জস্য করে, বিশ্ব প্রকৃতির সাথে নিজের প্রকৃতির সমন্বয় করে ফিতরাত বা প্রকৃতির আয়নায় দয়াময়ের তালাশে গভীর চিন্তা বা ধ্যানই হচ্ছে contemplation বা তাফাক্কুর।

প্রতিচ্ছবি বা Reflection: মানুষের মনে অনেক চিন্তার উদ্ভব হয়। মানুষ চিন্তা থেকে প্লান তৈরী করে, আর এই প্লানটি রিফ্লেকশনের মাধ্যমে ধণাত্মক শক্তিতে পরিণত করতে পারলে চিন্তা কর্মফলে রুপান্তরিত হয়ে বস্তুসত্বায় প্রকাশ ঘটায়। আর Reflection প্রক্রিয়াই হচ্ছে মেডিটেশন।।

আলোকিতকরণ বা Enlightenment: বৃষ্টি যেমন শুষ্ক জমিনকে সিক্ত করে থাকে তেমনি আল্লাহ তা’আলার নূর মৃত হৃদয়কে জীবিত করতে পারে। অন্তর যখন গুমরাহীর অন্ধকারে ছেয়ে যায় তখন আল্লাহর নূর আকস্মিকভাবে ঐ অন্তরকে আলোকোজ্জ্বল করে তোলে। ফলে ঐ বান্দার অন্তরে ওহী ও প্রজ্ঞা নাযিল হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ তিনি যাকে ইচ্ছে প্রজ্ঞা দান করেন এবং যাকে প্রজ্ঞা প্রদান করা হয় সে তো প্রচুর কল্যাণ প্রাপ্ত হয়। জ্ঞানবানরা ছাড়া কেউ উপদেশ গ্রহণ করে না (সূত্রঃ আল্‌ ক্বোরআন ২:২৬৯)। ওহী হচ্ছে অন্তরের তালাচাবি স্বরূপ। অন্তরে আদেশ প্রাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াই হচ্ছে Enlightenment বা আলোকিতকরণ।

উত্তরঃ- মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন হযরত আদম (আঃ) এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের ধারাবাহিকতা শুরু করে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী রাসূলণেরর মাধ্যমে সংস্কার ও পুনঃসংস্কার করে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর মাধ্যমে “ইসলাম ধর্মকে” সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি চিরকল্যানকর পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসাবে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আর এই ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চারটি প্রধান মূলনীতির উপর যথাক্রমেঃ শরীয়ত, ত্বরীকত, হাকীকাত এবং মারেফাত। এই চারটি শাখার মূলনীতিকে অনুসরণ করতে হলে ‘তাসাউফ’ জ্ঞান লাভ করা অত্যাবশ্যক (ফরজে আইন)। কেননা, তাসাউফ ব্যতীত ধর্ম নিরর্থক ও অসমাপ্ত অপরিপূর্ণ।

জানা আবশ্যক যে, সকল নবীগণই তাসাউফ সাধনায় লিপ্ত ছিলেন। আর এই তাসাউফ সাধনার প্রক্রিয়ায় হচ্ছে মেডিটেশন বা মোরাক্বাবা বা ধ্যান বা তাফাক্কুর। হযরত আদম (আঃ) হতে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) পর্যন্ত সকল নবী রাসূলগণ মোরাক্বাবা বা ধ্যান করেছেন। এই ধ্যানের মাধ্যমে সকল নবী রাসূলগণ ধর্ম ও এবাদাত পদ্ধতি লাভ করেছেন, স্রষ্টার সাথে সংযোগ লাভ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় হযরত মোহাম্মদ (সঃ) তাঁর জীবনের ২৫ বছর থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত হেরাগুয়ায় ধ্যান তথা মোরাক্বাবা করেছেন। হাদীসগ্রন্থসমুহে তাহন্নুছ ও গাতীত পদ্ধতির অথেনথিক দলিল রযেছে।।

পবিত্র আল ক্বোরআনুল হাকীমে তাফাক্কুর শব্দ থেকে গঠিত এই ছয়টি শব্দ আঠারটি আয়াতে আঠারবার রয়েছে যার মুল বা মাদ্দা فَكَّرٌ ফিক্করুন বা ফাক্করুন। যার অর্থ গভীর চিন্তা, যাকে ধ্যান বলা হয়। পবিত্র আল ক্বোরআনুল হাকীমে ফিক্করুন থেকে গঠিত ছয়টি শব্দ হচ্ছে “তাতাফাক্কারুন শব্দটি তিনবার, তাতাফাক্কারু শব্দটি একবার, ওয়াইয়াতাফাক্কারুন শব্দটি একবার, ইয়াতাফাক্কারুন শব্দটি দশবার, ইয়াতাফাক্কারু শব্দটি দুইবার, ফাক্কারা শব্দটি একবার, মোট ১৮টি আয়াতে ১৮ বার রয়েছে। তাছাড়া বিশ্বজগতে আল্লাহর নিদর্শণ সমুহের প্রতি গভীর চিন্তা (ধ্যান) করার জন্য পবিত্র ক্বোরআনে ১৬৮টি আয়াতে নির্দেশ রয়েছে।

আর مراقبة মুরাক্বাবা শব্দটির মাদ্দা বা Root رقاب রাক্বিবুন যার অর্থ পর্যবেক্ষন বা নিরীক্ষণ করা যা পবিত্র আল্ ক্বোরআনে ২৪ বার রয়েছে।

পবিত্র আল ক্বোরআনুল হাকীম হতে তাফাক্কুর শব্দ থেকে গঠিত কয়েকটি আয়াত পেশ করলাম।

الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ0

যারা আল্লাহ্কে স্মরণ করে দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে এবং চিন্তা (ধ্যান) করে আসমান ও জমিনের সৃজনের ব্যাপারে, এবং বলেঃ হে আমাদের পালনকর্তা ! তুমি এসব নিরর্থক সৃষ্টি করনি। আমরা তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করি। তুমি আমাদের দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর (সূত্রঃ আল্-ক্বোরআন)।

وَهُوَ الَّذِي مَدَّ الْأَرْضَ وَجَعَلَ فِيهَا رَوَاسِيَ وَأَنْهَارًا وَمِنْ كُلِّ الثَّمَرَاتِ جَعَلَ فِيهَا زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ يُغْشِي اللَّيْلَ النَّهَارَ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

তিনিই বিস্তৃত করেছেন ভূমন্ডলকে এবং সেখানে সৃষ্টি করেছেন পর্বতমালা ও নদ-নদী এবং সেখানে প্রত্যেক প্রকারের ফল সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়, তিনিই দিনকে রাত্রি দিয়ে আবৃত করেন। এতে নিশ্চিত নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য (সূত্রঃ আল্-ক্বোরআন)।

وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُون

আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের নিজেদের মধ্য থেকে স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি লাভ কর এবং সৃষ্টি করেছেন তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া। নিশ্চয় এতে তাফাক্কুর বা চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যারা গভীরভাবে চিন্তা (ধ্যান) করে (সূত্রঃ আল্-ক্বোরআন)।

قُلْ إِنَّمَا أَعِظُكُمْ بِوَاحِدَةٍ أَنْ تَقُومُوا لِلَّهِ مَثْنَى وَفُرَادٰى ثُمَّ تَتَفَكَّرُوا مَا بِصَاحِبِكُمْ مِنْ جِنَّةٍ إِنْ هُوَ إِلَّا نَذِيرٌ لَكُمْ بَيْنَ يَدَيْ عَذَابٍ شَدِيدٍ

হে মোহাম্মদ বলুনঃ আমি তোমাদেরকে শুধু একটি উপদেশ বা নসীহত দিচ্ছি যে, তোমরা আল্লাহরই জন্য দন্ডায়মান হও দুই দুইজন করে ও এক একজন করে; অতঃপর তোমরা তাতাফাক্কার বা চিন্তা (ধ্যান বা মোরাক্বাবা) কর, দেখতে পাবে, তোমাদের সঙ্গীর কোনরূপ উম্মাদনা বা মস্তিষ্ক বিকৃতি নেই। সে তো আসন্ন কঠিন আযাব সম্পর্কে তোমাদের একজন সতর্ককারী মাত্র (সূত্রঃ আল্-ক্বোরআন)।

وَسَخَّرَ لَكُمْ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا مِنْهُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ

আর তিনি নিজ অনুগ্রহে তোমাদের উপকারার্থে আয়ত্তাধীন করে দিয়েছেন যা কিছু আছে আসমানে এবং যা কিছু আছে জমিনে সবই। নিশ্চয় এতে তাফাক্কুর বা চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যারা চিন্তা (ধ্যান) করে (সূত্রঃ আল্-ক্বোরআন)।

بَاب فَضْلِ دَوَامِ الذِّكْرِ وَالْفِكْرِ في أُمُورِ الْآخِرَةِ وَالْمُرَاقَبَةِ وَجَوَازِ تَرْكِ ذلك في بَعْضِ الْأَوْقَاتِ وَالِاشْتِغَالِ بِالدُّنْيَا

সহীহ্ মুসলিম শরফের তওবাহ্ অধ্যায়ের এর একটি অনুচ্ছেদের নাম হচ্ছেঃ সর্বদা আল্লাহর জিকির করা, পরকালের চিন্তা করা, মুরাক্বাবায় থাকা, কখনো কখনো তা হতে ফারেগ হয়ে পার্থিব কাজে লিপ্ত হওয়া।

উত্তর:- মহা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন হযরত আদম (আঃ) এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের ধারাবাহিকতা শুরু করে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী রাসূলণেরর মাধ্যমে সংস্কার ও পুনঃসংস্কার করে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর মাধ্যমে “ইসলাম ধর্মকে” সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি চিরকল্যানকর পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসাবে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আর এই ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চারটি প্রধান মূলনীতির উপর যথাক্রমেঃ শরীয়ত, ত্বরীকত, হাকীকাত এবং মারেফাত। এই চারটি শাখার মূলনীতিকে অনুসরণ করতে হলে ‘তাসাউফ’ জ্ঞান লাভ করা অত্যাবশ্যক। কেননা, তাসাউফ ব্যতীত ইসলাম ধর্ম নিরর্থক ও অসমাপ্ত অপরিপূর্ণ। জানা আবশ্যক যে, সকল নবীগণই তাসাউফ সাধনায় লিপ্ত ছিলেন। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) তাঁর জীবনের ২৫ বছর থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত হেরাগুয়ায় ধ্যান তথা মোরাক্বাবা করেছেন।
তাসাউফের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্নদর্শনের মাধ্যমে সত্যদর্শন, নিজেকে চেনার মাধ্যমে আল্লাহকে চেনা, নিজেকে আল্লাহতে সমর্পন করা, আত্নজ্ঞান লাভ করা, নিজের মধ্যে যে আধ্যাত্নিক শক্তি রয়েছে তা উদঘাটিত করে দেহের মধ্যে স্রষ্টার নিদর্শণ সমুহের পরিচয় জেনে নিজের অস্তিত্বে (আলমে কবির) বিশ্বজগতকে (আলমে ছগীর) দেখা, চেতনা শক্তিকে জাগ্রত করে জীবাত্নার সাথে পরমাত্নার সংযোগ স্থাপন করে স্রষ্টার সংযোগ লাভ করা, আর এসব জ্ঞান অর্জন করাই হচ্ছে তাসাউফ এবং এসব লাভ করার প্রক্রিয়ার আধ্যাতিক বিজ্ঞানই মোরাক্বাবা বা সুফি মেডিটেশন।

উত্তর:- বর্তমান পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে প্রচলিত সাইন্টিফিক মেডিটেশন এর নামে যা করা হচ্ছে তা কোন নবী, ওলী-বুযুর্গ বা সূফীগণ করেন নাই। পৃথিবীর আদিতে আদম (আঃ) হতে শুরু করে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) পর্যন্ত একলক্ষ চব্বিশ হাজার নবী রাসূলগণ যা করেছেন তা হচ্ছে মোরাক্বাবা, ক্বোরআন হাদীস সমর্থিত ধ্যানের পদ্ধতি যা তাহন্নুছ পদ্ধতির মোরাক্বাবা নামে পরিচিত। তাছাড়া ওহী নাযিলের সময় নবী রাসূলগণ “গাততি” পদ্ধতির মোরাক্বাবা করতেন। যুগে যুগে কালে কালে সকল নবী রাসূল ওলী বুযুর্গ, সূফী দরবেশগণ উক্ত পদ্ধতি দ্বয়ের ধারক ও বাহক ছিলেন। যে প্রক্রিয়ায় বর্তমান যুগের প্রচলিত সাইন্টিফিক মেডিটেশন পরিচালিত হচ্ছে তা কোন নবী রাসূল ওলীগণ করেননি। উপরন্তু তাঁরা যে প্রক্রিয়ায় মোরাক্বাবা করেছেন তা হচ্ছে সূফী মেডিটেশন। যারা এই মোরাক্বাবার শিক্ষক বা হাদী হবেন, তারা সকলেই রাসূল মুহাম্মদ (সঃ) এর সিলসিলাভুক্ত (শিকলের মত একটির সাথে আরেকটি সংযুক্ত ) হবেন এবং সিরাজাম মুনিরার বাহক হবেন। এই হাদীগণ শরীয়ত ও আধ্যাত্নিক বিদ্যায় উত্তরাধিকারী ও প্রজ্ঞাপ্রাপ্ত হবেন।

উত্তর:- বর্তমানের প্রচলিত সাইন্টিফিক মেডিটেশন যাদের দ্বারা পরিচালিত তারা কোন ধর্মবেত্তা নন এবং আধ্যাত্নিক সাধক ও নন। ফলে ধর্মানুরাগীদের জন্য এ ধরণের প্রচলিত মেডিটেশন এর পরিচালকগণ হাতুড়ে ডাক্তারদের মত যাদের হাতে চিকিৎসা নিরাপদ নয়। মানুষের মন কল্পনাপ্রবণ বিধায় প্রতিদিন হাজার হাজার ছবি ধারণ করে, যা ধ্যানের পক্ষে অন্তরায়। মোরাক্বাবার অন্যতম কাজ হচ্ছে মনকে একদিকে কেন্দ্রিভূত করা, একাগ্রচিত্ত করা, সকল ছবি মুছে মনকে স্রষ্টার নূরে আলোকিত করা। পক্ষান্তরে, প্রচলিত সাইন্টিফিক মেডিটেশন কল্পনা প্রবণ মনকে আরো কল্পনার দিকে ধাবিত করে, ফলে তারা তৈরী করতে থাকে বাস্তবতা বিবর্জিত ক্ষণস্থায়ী এক কল্পনার রাজ্য। মনের বাড়ী যা কল্পনাতেই নিঃশেষ হয়ে যায়, তাসের ঘরের মত যা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। যে প্রক্রিয়ায় প্রচলিত সাইন্টিফিক মেডিটেশন পরিচালিত হচ্ছে সে প্রক্রিয়ায় কখনো ধ্যানে অগ্রগামী হওয়া যাবে না, উপরন্তু মনে ধ্যানের প্রতি বিরক্তি এসে ধ্যান সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তার উদ্ভব হবে, ফলশ্রুতিতে মানুষ চিরতরে ধ্যান হতে বের হয়ে যাবে যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। বিশ্বব্যাপী প্রচলিত এসব প্রচলিত প্রক্রিয়ায় মনের একাগ্রতা কখনো সম্ভব নয়। সূফি মেডিটেশন যা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে হাজার বছর ধরে আধ্যাত্মিক সাধকরা চর্চা করে যাচ্ছেন এবং জাগতিক ও আধ্যাত্মিক সফলতা অর্জন করেছেন যার প্রমান বিভিন্ন কিতাবে রয়েছে। তাই সূফী মেডিটেশনই হতে পারে আপনার জীবনের সাধনার একমাত্র পথ।

উত্তর:- সূফী মেডিটেশন এর মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি ঘটে, আত্মবিশ্বাসী করে তোলে, রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় করে, আধ্যাত্মিক ও জাগতিক সফলতা নিশ্চিত করে, ধ্যানে একাগ্রতা অর্জিত হয় যা সকল এবাদতের মজ্জা, নিজেকে আল্লাহতে সমর্পণ করা যায়। কুপ্রবৃত্তি দমন করে নাফসের পবিত্রতা অর্জন এবং সিরাজাম মুনিরা গ্রহনে আত্মিক পবিত্রতা অর্জনে পদ্ধতি, মোরাক্বাবার অনুশীলন, ফারাসাত Intuition (অর্ন্তচক্ষু) হাসিলের পদ্ধতি এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে পাস-আনফাস (Breathe Control), হিফজে দম (গাতীত পদ্ধতি, (Breathe Holding) ও সুলতানুল আজকার (সর্বোঙ্গে জিকির) ইত্যাদি অর্জনের প্রক্রিয়া শিক্ষা দেয়া হয়।
সূফি মেডিটেশনের মাধ্যমে যা অর্জন করা সম্ভব:

• দুশ্চিন্তা বা টেনশন হতে মুক্তির প্রক্রিয়া
• আত্ম নিরাময়ের আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া
• স্মৃতিশক্তি ও মেধাশক্তিকে উন্নত করার প্রক্রিয়া
• দেহ ও মনকে নিয়ন্ত্রনের প্রক্রিয়া
• সালাতসহ সকল এবাদতে একাগ্রতা ও স্থিরতা আনয়নের প্রক্রিয়া
• কুপ্রবৃত্তি দমন ও আত্মশুদ্ধি লাভের প্রক্রিয়া
• লতিফা সমুহ জাগ্রত করার প্রক্রিয়া
• তওবা করে বিনীত হওয়ার সঠিক প্রক্রিয়া
• বদ অভ্যাস ও নেশা দূরিকরণের প্রক্রিয়া
• ধ্যানে অন্যকে নিয়ন্ত্রেনের প্রক্রিয়া
• ধ্যানে তথ্যভান্ডার হতে নিজের ভাল মন্দ্র জানার প্রক্রিয়া
• দ্রুত ধ্যানের গভীর অবস্থায় পৌছার প্রক্রিয়া
• সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া
• সুলতানুল আজকার বা সর্বাঙ্গে জিকির চালু করার প্রক্রিয়া
• ঊরূজ বিল বোরাকি বা নাফসে আম্মারাকে বোরাক শক্তির মাধ্যমে শাওকি নালের মধ্য দিয়ে আখফা লতিফায় উত্তোলন করে রূহুল কুদ্দুস বা অনন্তচেতনায় উন্নীতকরণ
• ফারাসাত বা অন্তর্চক্ষু হাসিল করার প্রক্রিয়া
• মন ও আত্মাকে প্রশান্ত করার প্রক্রিয়া
• মন, আত্মা ও আধ্যাত্মিকতা (Trinity) একত্রিত করে স্থান, কাল এবং সময়েক অতিক্রম করার প্রক্রিয়া
• হাদীস অনুসারে জকি ছাআত বা জ্ঞানীদের দৈনিক, মাসিক ও বাৎসরিক বুদ্ধিমান সময় নির্ণয়।

উত্তর:- আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ وَكَانَ اللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ رَقِيبًا আল্লাহ্ সব বস্তুকে পর্যবেক্ষন বা নিরীক্ষিন করেন (সূত্রঃ আল্-ক্বোরআন)। হাদীস শরীফ আছে- عن أنس قال قال رسول الله r تفكر ساعة في اختلاف الليل والنهار خير من عبادة ثمانين سنة হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) বলেছেন- দিন ও রাত্রির পরিবর্তন সম্পর্কে ধ্যান করা আশি বছর এবাদাত করার চেয়ে উত্তম।।

আল্লাহ তা’আলা আরও বলেন,, “আমি তোমাদের নাফস বা দেহে অবস্থান করি, তোমরা কি পর্যবেক্ষন কর না” (সূত্রঃ আল্-ক্বোরআন)? তাই বুযুর্গগণ বলেছেন, “মান আরাফা নাফসা হু ফাকাদ আরাফা রব্বাহু” যে নিজকে চিনেছে সে তার প্রভু কে চিনেছে। পবিত্র ক্বোরআনে আরো বলা হয়েছে “যা আছে মহাবিশ্বে তা আছে দেহভান্ডে”। অর্থ্যাৎ নিজ দেহ বা নাফসে স্রষ্টার পরিচিতি লাভ করে তাঁর সাথে সংযোগ লাভে মেডিটেশন বা মোরাক্বাবার বিকল্প নেই। হুজুরী ক্বালব বা একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতার মাধ্যমে সালাতে সংযোগ কায়েমে মোরাক্বাবা বা মেডিটেশন একমাত্র পথ।

কোচিং সেন্টারের মত গজে উঠা প্রচলিত সাইন্টিফিক মেডিটেশনের প্রশিক্ষক না প্রচলিত ত্বরীকার কোন হাদী যিনি আধ্যাত্মিক সাধক এবং যিনি কোন আধ্যাত্মিক সিলসিলার ধারক ও বাহক।? অবশ্যই ত্বরীকার হাদী যিনি আধ্যাত্মিক সাধক এবং যিনি আধ্যাত্মিক সিলসিলার ধারক ও বাহক।।

ইনসানে কামিলগণ আল্লাহ্ হতে প্রাপ্ত ক্ষমতায় তক্কদ্বিরগতভাবে জাহান্নামীকে জান্নাতীতে পরিণত করেছেন যার প্রমাণ বিভিন্ন তাফসীরে রয়েছে। তাঁরা আল্লাহ্ কর্তৃক নিযুক্ত কৌশলী তাই তারা আল্লাহর গুনে গুনান্বিত হয়ে আল্লাহ্ হতে প্রাপ্ত ক্ষমতায় মৃতকে জীবিত, নিঃসন্তানকে সন্তানদান, অসুস্থকে সুস্থ, দুঃখকে আনন্দে, অভাবকে প্রাচুর্যে, অশান্তিকে প্রশান্তিতে, অপবিত্রকে পবিত্র, দূর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণত করেছেন। যেহেতু ইনসানে কামিলগণ আল্লাহ্ হতে প্রাপ্ত ক্ষমতায় ক্ষমতাবান সেহেতু যে কোন বিষয়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা ও সুপারিশ করতে পারেন, অন্যদিকে তথ্যভান্ডার হতে প্রজ্ঞার মাধ্যমে তথ্য জেনে মানুষকে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। ব্যক্তি সেই নির্ধারিত পথে যদি চেষ্টা ও সাধনা করে তাহলে তার পক্ষে সফলতা অর্জন সম্ভব। না জেনে না দেখে পথ চলা জ্ঞানীদের কাজ নয়। আমরা যত বেশী সচেতন হতে পারি ততই আমরা আমাদের তথ্যভান্ডারকে জানতে পারি ও সমৃদ্ধ করতে পারি। মনের অসীম শক্তিকে সচেতন করে মনকে কেন্দ্রীভূত করা আমাদের জীবনের সর্বাপেক্ষা উত্তম কাজ। এ লেভেলেই পৃথিবীর সকল দক্ষ মানুষ কাজ করে থাকেন। মনকে কেন্দ্রীভূত করার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতিই সূফি মেডিটেশন। সূফি মেডিটেশন এর প্রাথমিক কোর্সে আপনার বিশাল অতীন্দ্রিয় সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত হবে।

উত্তর:-তাসাউফ ফাউন্ডেশনের সম্মনিত চেয়ারম্যান, আলে রাসূল, কম্পিউটারে আল ক্বোরআন গবেষক, আল্লাহর পরিচয়দানে বাস্তবমূখী শিক্ষক, ইলমে লাদ্দুনী প্রাপ্ত সূফী ও গবেষক, আল্‌হাদী সৈয়দ শাহাদাত হুসাইন। আল্‌হাদী সৈয়দ শাহাদাত হুসাইন আল্ হাসানী ওয়াল হোসাইনী বংশগতভাবে আলে রাসূল এবং পূর্বাঞ্চলের বাবে সিররে্ আসরার, মাইজ ভান্ডার দরবার শরীফের হযরত গাউসুল আজম মাইজভান্ডারীর বংশধর এবং গাউসিয়া ওহাব মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন। আল্‌হাদী অন্যান্য হাদী ও মাশায়েখ হতে সম্পূর্ন ব্যতিক্রমধর্মী, কারণ তিনি শরীয়ত ও আধ্যাত্মিকতার মাপকাঠিতে স্বচ্ছ প্রমাণাদিসহ তার সমস্ত কার্যাবলী পরিচালিত করেন।

উত্তরঃ যারা মূখে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ বলে এবং অন্তরে স্বীকার করে, যারা আল্লাহ্ তা’আলা এবং তাঁর ফেরেস্তাগণ ও কিতাব সমুহ, নবী-রাসূলগণ, পরকাল, তক্বদ্বীরের ভাল-মন্দ (ভাল-মন্দ, জান্নাত-জাহান্নাম আল্লাহর তরফ হতে নির্দ্ধারিত) এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস করে তাদেরকে যারা মন্দ নামে ডাকে তারা জালিম।

যারা অন্যদের মন্দ নামে ডাকে তারা জালিম

আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন “ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের কোন পুরুষ যেন কোন পুরুষকে উপহাস না করে, কেননা তারা উপহাসকারীদের অপেক্ষা উত্তম হতে পারে; এবং কোন নারীও যেন অন্য কোন নারীকে উপহাস না করে, কেননা তারা উপহাসকারিনীদের অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। আর তোমরা একে অন্যকে খোঁটা দিও না এবং একে অন্যকে মন্দ নামে ডেক না। ঈমান আনার পর মন্দ নামে ডাকা অতি গর্হিত। আর যারা এরূপ কার্যাবলী থেকে নিবৃত্ত না হয় তারাই প্রকৃত জালিম। (টিকাঃ আর জালিমরাই প্রকৃত কাফের ২:২৫৪,)” (সূত্রঃ আল্-ক্বোরআন) ।।

আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন আরো বলেনঃ “ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা অনেক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয় কোন কোন অনুমান পাপজনক হয়ে থাকে। আর তোমরা কারও দোষ অনুসন্ধান কর না এবং একে অপরের গীবত কর না। তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের মাংসা ভক্ষণ করতে পছন্দ করবে? তোমরা তো অবশ্যই তা ঘৃণা কর। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ্ বড়ই তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু” (সূত্রঃ আল্-ক্বোরআন)।।

কাফেরগন ও মুনাফিকগণ নবী রাসূলদের ভন্ড ও যাদুকর ডাকতো যার প্রমান পবিত্র ক্বোরআনুল হাকীমে রয়েছে। যারা অজ্ঞানী তারা জ্ঞানীদের চিনতে পারে না। আর হাদীসে রয়েছে “মুনাফিকরা ওলীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে” যারা গালি দেয় তারা মুনাফিক আর মুনাফিকরা ওলীদের গালি দেয়।

উত্তর:-১৫-৮৫ বয়সের নারী পুরুষ উভই যারা স্পিরিচুয়াল সিকার বা স্পিরিচুয়াল জ্ঞান অণ্বেষনকারী, গুরুবাদী, দেহতত্ত্ব অন্বেষনকারী, ত্বরিকতপন্থী, সূফীবাদী, দার্শনিক, মারেফত বা তাসাউফপন্থী, স্রষ্টা সন্ধানী, যারা Know Thyself school of thoughts এর অনুসারী, সত্য সন্ধানে বিভিন্ন গুরু, দরবার, মাজার ইত্যাদি ঘুরে ব্যর্থ ও আশাহত, তাদের জন্য তাসাউফ ফাউন্ডেশনে এর ফ্রি সূফী মেডিটেশন (ধ্যান বা মোরাক্বাবা) কোর্স এবং দেহত্বত্তের আধ্যাত্মিক ক্লাসে অংশগ্রহন করতে পারবেন।

আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ

أَلَا إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُوْنَ

সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই, আর তারা দুঃখিতও হবে না (আল-ক্বোরআন ১০:৬২)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় সউদী আরবের মহামান্য শাসক খাদেমুল হারামাইনিশ্ শরীফাইন বাদশাহ ফাহদ ইবনে আবদুল আজিজের নির্দেশে ও পৃষ্ঠপোষকতায় মুদ্রিত পবিত্র ক্বোরআনের তরজমা ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর ‘‘তাফসীরে মাআরেফুল ক্বোরআন’’ এর ৬১২ পৃষ্ঠার ১ম কলামের ৪২ নং লাইন এ লিখেনঃ আরবী ভাষায় ‘ওলী’ অর্থ নিকটবর্তীও হয় এবং দোস্ত-বন্ধু ও অভিভাবকও হয়। আর ওলী শব্দের বহুবচন ‘আওলিয়া’। আল্লাহ্ তা’আলার প্রেম ও নৈকট্যের একটি সাধারণ স্তর এমন রয়েছে যে, তার আওতা থেকে পৃথিবীর কোন মানুষ, কোন জীবজন্তু এমনকি কোন বস্ত্ত-সামগ্রীই বাদ পড়ে না। কিন্তু ‘আওলিয়া’ শব্দ নৈকট্যের ঐ স্তরের কথা বলা উদ্দেশ্য নয়। বরং নৈকট্য, প্রেম ও ওলিত্বের দ্বিতীয় আরেকটি পর্যায় রয়েছে যা আল্লাহ্ তা’আলার বিশেষ বান্দাদের জন্য র্নিদিষ্ট। সে নৈকট্যকে মুহাববাত বলা হয়। যারা নৈকট্য লাভ করতে সমর্থ হন, তাদেরকে বলা হয় ওলীআল্লাহ্ তথা আল্লাহর ওলী। হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ ‘‘আমার বান্দা নফল এবাদতের মাধ্যমে আমার নৈকট্য অর্জন করতে থাকে। এমনকি আমি নিজেও তাকে ভালবাসতে আরম্ভ করি। আর যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমিই তার কান হয়ে যাই, সে যা কিছু শুনে আমারই মাধ্যমে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা কিছু সে দেখে, আমার মাধ্যমেই দেখে। আমিই তার হাত-পা হয়ে যাই, যা কিছু সে করে আমারই মাধ্যমে করে’’। বস্ত্ততঃ এই বিশেষ ওলীত্বের বা নৈকট্যের স্তর অগণিত ও অশেষ। আর সর্বোচ্চ স্তর নবী রাসূলগণের প্রাপ্য। কারণ, প্রত্যেক নবীরাই ওলী হওয়া অপরিহার্য। আর এর সর্বোচ্চ স্তর হল সায়্যেদুল আম্বিয়া নবী করিম (সঃ) এর এবং এ বেলায়তের সর্বনিম্ন স্তর হল সুফি-সাধকদের পরিভাষায় ‘দরজায়ে ফানা’ তথা আত্মা বিলুপ্তির স্তর। প্রশ্ন দেখা দিতে পারে যে, বেলায়তের এ স্তর লাভের উপায় কি?

‘‘তাফসীরে মাআরেফুল ক্বোরআন’’ এর ৬১৩ পৃষ্ঠার ২য় কলামের ১৩ নং লাইন এ লিখেনঃ বেলায়তের স্তর প্রাপ্তির এটিই পন্থা যা তিনটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত। (১) কোন ওলীআল্লাহর সংসর্গ, (২) ঐ ওলীর আনুগত্য, (৩) আল্লাহ্র অধিক যিকির। আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেন যে, এক ব্যক্তি রসূলে করিম (সঃ) এর কাছে প্রশ্ন করলেন যে, আপনি সে ব্যক্তি সম্পর্কে কি বলেন, যে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির সাথে মুহাববত রাখে কিন্তু আমলের দিক দিয়ে তার স্তরে পৌছাতে পারে না। হুজুর (সঃ) বললেন المرء مع من احب অথাৎ প্রতিটি লোকেই তার সাথেই থাকবে যাকে সে ভালবাসে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, ওলী-আল্লাহগণের সংসর্গ ও তাদের প্রতি মুহাববত রাখা মানুষের জন্য বেলায়েত বা আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের মাধ্যম এবং জান্নাতের নিশ্চিত উপায়। (সূত্রঃ- সউদী আরবের মহামান্য শাসক খাদেমুল হারামাইনিশ্ শরীফাইন বাদশাহ ফাহদ ইবনে আবদুল আজিজের নির্দেশে ও পৃষ্ঠপোষকতায় মুদ্রিত পবিত্র ক্বোরআনের তরজমা ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর ‘‘তাফসীরে মাআরেফুল ক্বোরআন’’ হতে সংকলিত, তবে এটি ওহাবী ও দেওবন্দী সম্প্রদায়ের প্রধান তাফসীর)।

হা, এলমে তাসাউফও ফরযে আইনের অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ

وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنفِرُوا كَافَّةً فَلَوْلَا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ

আর মুমিনদের সকলের একত্রে অভিযানে বের হওয়া সমীচীন নয়। অতএব তাদের প্রত্যেক দল থেকে একটি অংশ কেন বের হয় না, যাতে অবশিষ্ট লোকেরা দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং যাতে তারা সতর্ক করতে পারে তাদের স্বজাতিকে যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা সাবধান হয় (আল্-ক্বোরআন ০৯ঃ১২২)।

উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসিরে মা’আরেফুল ক্বোরআনের ৫৯৬ পৃষ্ঠার ২য় কলামের ৩০ নং লাইন হতে ৫৯৭ পৃষ্ঠার ১ম কলামে লিখেনঃ

طلب العلم فريضة على كل مسلم

প্রত্যেক মুসলমানের জন্য এলম শিক্ষা করা ফরয।

ইসলামের বিশুদ্ধ আক্বীদা সমূহে জ্ঞান হাসিল করা, পাক-নাপাকীর হুকুম আহকাম জানা, নামাজ-রোযা ও অন্যান্য এবাদত বা শরীয়ত যেসব বিষয় ফরয ও ওয়াজিব করে দিয়েছে, সেগুলোর জ্ঞান রাখা এবং যেসব বিষয় হারাম ও মাকরূহ্ করে দিয়েছে, সেগুলোর সম্পর্কে ওয়াকেফহাল হওয়া প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরয। তাই সেগুলোর উপর জ্ঞান রাখা ফরযে আইন।

অনুরূপভাবে এলমে তাসাউফও ফরযে আইনের অন্তর্ভূক্ত। শরীয়তের যাহেরী হুকুম তথা নামাজ রোজা প্রভৃতি যে ফরযে আইন তা সর্বজনবিদিত। তাই সেগুলোর এলম রাখাও ফরযে আইন। যেহেতু বাতেনী আমলও সকলের জন্য ফরযে আইন, তাই বাতেনী আমল ও বাতেনী হারাম বস্ত্তর এলম, যাকে পরিভাষায় ‘এলমে তাসাউফ’ বলা হয়, তা হাসিল করাও ফরযে আইন। অধুনা বিভিন্ন এলম, তত্ত্বজ্ঞান, কাশ্ফ ও আত্মোপলদ্ধির সম্মিলিত রূপকে এলমে তাসাউফ বলা হয় (সূত্রঃ- সউদী আরবের মহামান্য শাসক খাদেমুল হারামাইনিশ্ শরীফাইন বাদশাহ ফাহদ ইবনে আবদুল আজিজের নির্দেশে ও পৃষ্ঠপোষকতায় মুদ্রিত পবিত্র ক্বোরআনের তরজমা ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর ‘‘তাফসীরে মাআরেফুল ক্বোরআন’’)।

হা, মুনাফিকরাই মানুষকে গালি দেয়। রাসুলুল্লাহ্‌ (সঃ) নিজেই মুনাফিকদের স্বভাব বর্ণনা করেছেন যা পড়লে নিজেকে সংশোধন করা যাবে। আমরা গালি দেই না এবং যারা গালি দেয় তাদের জবাবও দেই না, কারণ আমরা বিনয়ী।

অনুচ্ছেদঃ মুনাফিকের স্বভাবের বর্ননা

بَاب بَيَانِ خِصَالِ الْمُنَافِقِ

Chapter: 25. The characteristics of the hypocrite

قال قال رسول اللَّهِ r أَرْبَعٌ من كُنَّ فيه كان مُنَافِقًا خَالِصًا وَمَنْ كانت فيه خَلَّةٌ مِنْهُنَّ كانت فيه خَلَّةٌ من نِفَاقٍ حتى يَدَعَهَا إذا حَدَّثَ كَذَبَ وإذا عَاهَدَ غَدَرَ وإذا وَعَدَ أَخْلَفَ وإذا خَاصَمَ فَجَرَ غير0 صحيح مسلم ج:1 ص:78

রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে আছে সে প্রকৃত মুনাফিক। যার মধ্যে ঐ চারটির একটিও আছে সে তা বর্জন না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকির স্বভাব থেকে যায়।স্বভাবগুলো এইঃ (এক) সে কথা বললে মিথ্যা বলে, (দুই) প্রতিশ্রুতি দিলে ভঙ্গ করে, (তিন) ওয়াদা করলে খেলাফ করে, (চার) ঝগড়া বাধলে গালি দেয়। সূত্রঃ সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান অধ্যায়।

It is narrated on the authority of Abdullah bin ‘Amr that the Prophet observed: “There are four characteristics, whoever has them all is a pure hypocrite, and whoever has one of its characteristics, he has one of the characteristics of hypocrisy, until he gives it up: When he speaks he lies, when he makes a covenant he betrays it, when he makes a promise he breaks it, and when he disputes he resorts to obscene speech.” Sahih Muslim, Book 1, Hadith 118

عن أبي هُرَيْرَةَ قال قال رسول اللَّهِ r من عَلَامَاتِ الْمُنَافِقِ ثَلَاثَةٌ إذا حَدَّثَ كَذَبَ وإذا وَعَدَ أَخْلَفَ وإذا ائتمن خَان .قال سمعت الْعَلَاءَ بن عبد الرحمن يحدث بهذا الإسناد وقال آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلَاثٌ وَإِنْ صَامَ وَصَلَّى وَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ. صحيح مسلم ج:1 ص:78

আবু হোরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “মুনাফিকদের স্বভাব তিনটি, (এক) কথা বললে মিথ্যা বলে, (দুই) ওয়াদা করলে খেলাফ করে, (তিন) তার নিকট আমানত রাখলে খেয়ানত করে। আ’লা ইবনে আবদুর রহমান আরো বলেছেন, যদিও সে রোযা রাখে, সালাত আদায় করে এবং সে নিজেকে মুসলমান মনে করে। সূত্রঃ সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান অধ্যায়।

Abu Huraira reported that the Messenger of Allah (may peace and blessings be upon him) observed: There are three characteristics of a hypocrite: when he spoke he told a lie, when he made promise he acted treacherously, and when he was trusted he betrayed. ‘Ala’ b. ‘Abdur-Rahman narrating this hadith with this chain of transmitters and he said: Three are the signs of a hypocrite, even if he observed fast and prayed and asserted that he was a Muslim. In-book reference: Sahih Muslim, Book 1, Hadith 118

[{নোটঃ সহীহ মুসলিম শরীফের কিতাবুল ঈমান অধ্যায়ের, মুনাফিকের স্বভাবের বর্ননা অনুচ্ছেদের তিনটি হাদীস একত্রিত করলে মুনাফিকদের ৫টি স্বভাব প্রকাশ পায়ঃ (এক) সে কথা বললে মিথ্যা বলে, (দুই) প্রতিশ্রুতি দিলে ভঙ্গ করে, (তিন) ওয়াদা করলে খেলাফ করে, (চার) ঝগড়া বাধলে গালি দেয় এবং (পাঁচ) তার নিকট আমানত রাখলে খেয়ানত করে। যদিও সে রোযা রাখে, সালাত আদায় করে এবং সে নিজেকে মুসলমান মনে করে। ফকিহগন বলেছেন, মুনাফিকগন ক্বোরআনের উপর আমলকারী হয়ে খাটি মু’মিন ওলীদেরকে গালি দেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে}]।

আলহাদী সৌদিআরব, মিশর আল-আযাহার ও ইরাক থেকে সংগ্রহ করেছেন অসংখ্য সফটওয়্যার যাতে রয়েছে পঞ্চাশ হাজারের অধিক কিতাব, শতাধিক তাফসীর গ্রন্থ সহ হাজার হাজার হাদীস ও ফিকাহের কিতাব। আলহাদী নিজে সার্চ করে একই বিষয়ে কি পরিমান আয়াত ও হাদীস রয়েছে তা দেখতে ও দেখাতে পারেন এবং একই বিষয়ে ফিকাহবিদগণের ফতওয়াও দেখতে পারেন। ফলতঃ আলহাদী ধারাবাহিকভাবে যে কোন বিষয়ে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য উপস্থাপন করে যাচ্ছেন। তাছাড়া তিনি বিষয়ভিত্তিক আয়াত সমূহ একত্রিকরনের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ে আল ক্বোরআনের সিদ্ধান্ত সমূহ উপস্থাপন করছেন। সার্চ পদ্ধতিতে তিনি তাসাউফের দূর্লভ বিষয়াদি ক্বোরআন হাদীস থেকে বের করে এনেছেন। বরযখ, রাবেতা, মোশাহিদা, মোরক্বাবা, ফানা এবং বাক্বা সহ মারিফাত লাভের বিভিন্ন পদ্ধতির নির্ভরযোগ্য দলিল সংগ্রহ করেছেন। তিনি যা এই কোর্সে উপস্হাপন করা হয়। সূফী মেডিটেশনের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তিনি প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখিয়ে থাকেন। এই পর্যন্ত ৬০টির অধিক কোর্সে ও ৪০টির মত সেমিনারে প্রশ্নত্তোর পর্বে তিনি অসংখ্য মানুষের প্রশ্নের সরাসরি জবাব প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন যার সম্পূর্ণ ডকুমেন্ট আমাদের নিকট নথিবদ্ধ রয়েছে।

অন্যান্য পীর মাশায়েখগণ যেখানে সম্পদের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত সেখানে আলহাদী বছরের পর বছর দিন-রাত পরিশ্রম করে আল ক্বোরআনের গবেষনায় লিপ্ত থেকে বিষয়ভিত্তিক ক্বোরআন তাফসীর বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। কোন প্রকার বিনিময় গ্রহন না করে নিজের অর্থ ব্যায় করে একের পর এক সূফী মেডিটেশন কোর্স উপহার দিয়ে প্রকৃত তাসাউফের স্বরূপ দেশবাসীর কাছে তুলে ধরছেন।

তাসাউফের প্রত্যেকটি বিষয়কে তিনি বিষয়ভিত্তিক ক্বোরআন ও হাদীসের মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে সাজিয়েছেন যাতে পূর্ববর্তী ওলী-আউলিয়াদের আদর্শ পূণরায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, ভুল পথ ও মত সম্পর্কে মানুষ জানতে পারছে।

আলহাদী যুগের সংস্কারক। তিনি বহু দিন যাবত প্রতিষ্ঠিত মতকে ক্বোরআনের আলোকে পরিবর্তন করে সঠিক ও সম্পূর্ণ তথ্য সমাজকে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন, যেমন পবিত্রতা। পবিত্র ক্বোরআনে তিন ধরণের পবিত্রতার কথা বলা হয়েছে যা সমাজের মানুষেরা জানেনা। আলহাদী বলেনঃ পবিত্রতা তিন প্রকারঃ (এক) শরীরের বাহ্যিক পবিত্রতা (দুই) নাফছের পবিত্রতা (তিন) ক্বালবের পবিত্রতা।। শরীরের বাহ্যিক পবিত্রতা নিজেরা অর্জন করতে পারে কিন্তু নাফছের পবিত্রতা অর্জনে সাধনা করতে হয়, আর ক্বালবের পবিত্রতা অর্জনে গুরুর সানিধ্যে থাকা অপরিহার্য। দীর্ঘদিন ধরে সমাজে প্রচলিত রয়েছে যে, কুরিপু ছয়টি। সেক্ষেত্রে আলহাদী ক্বোরআন থেকে অসংখ্য আয়াত দিয়ে প্রমান করেছেন কুরিপু বা কুপ্রবৃত্তি বারটি যাকে অপসারনের জন্য ক্বোরআনে বারটি সুপ্রবৃত্তি রয়েছে।

সমাজের কিছু আলেমগণ যখন বলতে শুরু করলেন মারিফাত বলতে কিছু নেই তখন তিনিই প্রথম বলতে শুরু করলেন “ধর্মের ভিত্তি হলো আল্লাহ্ তা’আলার মারিফাত” আর প্রথম জ্ঞান হচ্ছে, মহা প্রতাপশালী আল্লাহর মারিফাত অর্জন। এরই প্রেক্ষিতে আলহাদী বলেনঃ তাসাউফ বা মারিফাত অর্জন ফরজে আইনের অন্তর্ভূক্ত। রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর এই বাণীদ্বয় প্রচারের মাধ্যমে আলহাদী মারিফাতের দিকে মানুষকে দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছেন।

মসজিদে মিম্বরে সর্বত্র বলা হচ্ছে সালাতের আয়াত ৮২ টি সেখানে আলহাদী গবেষনা করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সালাতের আয়াত ১২৪ টি। অথচ ৫০টি বা ৬২টি আয়াত নিয়ে অর্থ রোজগারের জন্য অনেকে অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে বই বাজারে ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি অসমাপ্ত ও অপরিপূর্ণ রেখে অনেকে এই বিষয়ে গবেষনাও শেষ করেছেন। এরকম আরো অসংখ্য বিষয় সংশোধন করে আলহাদী সংস্কার কার্য চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূফী মেডিটেশনে পরিবেশিত তথ্যসমূহ তাই সম্পূর্ণ ক্বোরআন হাদীস এজমা কিয়াস ভিত্তিক ও নির্ভরযোগ্য এবং আধ্যাত্মিক।

error: Content is protected !!