TASAUF FOUNDATION

A Nonprofit & Nonpolitical Organization, Under Societies Registration Act 1860.

TASAUF FOUNDATION

A Nonprofit & Nonpolitical Organization, Under Societies Registration Act 1860.

Tasauf Education

তাসাউফ শিক্ষা: তাসাউফ শিক্ষার মূল দর্শণ হচ্ছে মানুষের মধ্যে সকল প্রকার নৈতিক অবক্ষয় রোধ করে নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা, কুপ্রবৃত্তি সমুহ দমন ও হারাম বর্জন করে আত্মশুদ্ধি অর্জন করে সমাজ শুদ্ধি করা। পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদ দমন করতে, তাসাউফ শিক্ষার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। শুধুমাত্র আহলে তাসাউফের আদর্শই সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।
তাসাউফ ফাউন্ডেশনের প্রধান শিক্ষা পবিত্রতা ও পরিশুদ্ধতা অর্জন করে আত্মশুদ্ধি লাভ করা। তাসাউফ ফাউন্ডেশনের সম্মানীত চেয়ারম্যান আলহাদী তার নিজ গবেষনায় বের করে এনেছেন যে, আমল বা কাজের পূর্বশর্ত হচ্ছে বিশুদ্ধতা।

আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ 

وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِي  

ওয়ামা খালাক্বতুল জিন্না ওয়াল ইনছা ইল্লা লিয়াবুদুন অর্থঃ আমার এবাদত করা ব্যতিরেকে মানুষ ও জ্বিনকে সৃষ্টি করি নাই (সূত্রঃ আল্ ক্বোরআন ৫১:৫৬)।  এ আয়াতের ব্যাখ্যায় অন্য আয়াতে বলেনঃ 

وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ 

অর্থঃ  তাদেকে তো কেল (শুধুমাত্র) এই আদেশ প্রদান করা হয়েছিল যে, তারা বিশুদ্ধচিত্তে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে আর সালাত কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে, এটাই সঠিক দ্বীন বা ধর্ম (সূত্রঃ আল্-ক্বোরআন ৯৮:০৫)এতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, এবাদাতের পূর্বশর্ত (১) বিশুদ্ধচিত্ততা এবং (২) একাগ্রতা।

একঃ তাযকিয়াতুল জাসাদি বা শরীরের বাহ্যিক পবিত্রতা- যা ওযু গোসল ও তায়াম্মুম দ্বারা সম্পন্ন হয়। দুইঃ তাযকিয়াতুল নাফস্ বা দেহের অভ্যন্তরীন পবিত্রতা- যা কুপ্রবৃত্তি দমন এবং হারাম বর্জন দ্বারা সম্পন্ন হয়। তিনঃ তাযকিয়াতুল ক্বালব বা অন্তরের বা মনের পবিত্রতা- যা রাসূলের সিরাজাম মুনিরার নূরের প্রতিবিম্ব দ্বারা সম্পন্ন হয় যা সাদেকীনদের সৎসর্গ দ্বারা অর্জিত হয়। তাযকিয়াতুল জাসাদি বা শরীরের বাহ্যিক পবিত্রতা যা ওযু গোসল ও তায়াম্মুম দ্বারা সম্পন্ন হয়, তা আমারা সকলেই জ্ঞাত রয়েছি। কিন্তু তাযকিয়াতুল নাফস্ বা দেহের অভ্যন্তরীন পবিত্রতা সম্পর্কে আমরা অধিকাংশ মানুষই অজ্ঞ। মানুষের দেহে অসংখ্য কুপ্রবৃত্তি রয়েছে। পবিত্র আল্‌ ক্বোরআনুল হাকীমে কু-প্রবৃত্তি দমনের জন্য ৩৭ টি আয়াত রয়েছে। আল্লাহ তা’আলা বলেন: অবশ্য আমি যদি চাইতাম তবে তাকে সে নিদর্শনাবলীর বদৌলতে উচ্চ মর্যাদা দান করতাম, কিন্তু সে দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ল এবং নিজ কু-প্রবৃত্তির (খেয়াল-খুশির) অনুসরণ করতে লাগল। ফলত: তার অবস্থা কুকুরের মত;  যদি তুমি তাকে আক্রমণ কর তবুও সে হাঁপাতে থাকে, অথবা যদি তুমি তাকে ছেড়ে দাও তবুও সে হাঁপাতে থাকে। এ হল সে সকল লোকের উদাহরণ যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে। অতএব আপনি এসব বৃত্তান্ত বর্ণনা করুন, যাতে তারা চিন্তা করে (সূত্রঃ আল্‌ ক্বোরআন ৭:১৭৬) । অন্য আয়াতে আরো বলেন: তারা যদি আপনার কথায় সাড়া না দেয়, তবে আপনি জানবেন যে, তারা শুধু স্বীয় কু-প্রবৃত্তির (খেয়াল-খুশির) অনুসরণ করে থাকে। আল্লাহর হেদায়াতের পরিবর্তে যে ব্যক্তি স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে হতে পারে? আল্লাহ্ তো জালিম লোকদেরকে পথ দেখান না (সূত্রঃ আল্‌ ক্বোরআন ২৮:৫০) । অন্য আয়াতে আল্লাহ তা’আলা জান্নাত লাভের পূর্বশর্ত ঘোষনা করে বলেন: আর যে ব্যক্তি স্বীয় রবের সামনে দন্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে কুপ্রবৃত্তি থেকে, জান্নাতই হবে তার বাসস্থান (সূত্রঃ আল্‌ ক্বোরআন ৭৯:৪০)। আর কুপ্রবৃত্তি দমন ব্যতিরেকে সালাত নষ্ট হয়ে যায়। আর এই কুপ্রবৃত্তি দমন নিয়ে আলহাদী’র রয়েছে বিশেষ গবেষনা। অধিকাংশ শিক্ষা ব্যবস্থা এই বিষয়ে অজ্ঞ। যার ফলে নৈতিক অবক্ষয় রোধে কুপ্রবৃত্তি দমন কোন শিক্ষা ব্যবস্থায় সিলেবাস ভুক্ত নয়। আলহাদীই প্রথম যিনি এই গবেষনা করেছেন। তিনি বলেন: প্রধান কুপ্রবৃত্তি সমুহ ১২টি যার অরো শাখা প্রশাখা রয়েছে। এই বারটি কুপ্রবৃত্তি হচ্ছে যথাক্রমেঃ কামনা, ক্রোধ, লোভ, মোহ বা হোবেব দুনিয়া, অহংকার, হিংসা, মিথ্যা, রিয়া বা লোকদেখানো এবাদত, কৃপণতা, পরনিন্দা, গরুরুন বা ভালকে মন্দ বলা এবং মন্দকে ভাল বলা, কিনা বা মনের দ্বেষ। এই কুপ্রবৃত্তি সমুহ দমন এবং হারাম বর্জন করতে পারলে দেহের অভ্যন্তরীন পবিত্রতা বা তাযকিয়াতুল নাফস হাসিল সম্ভব। দেহের অভ্যন্তরীন পবিত্রতা বা তাযকিয়াতুল নাফস হাসিল করতে কুপ্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে আলহাদী আল ক্বোরআনের আয়াত সমুহ একত্রিত করে ক্বোরআনের আলোকে কুপ্রবৃত্তি দমনের তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান “তাসাউফ শিক্ষা” দিয়ে থাকেন। কুপ্রবৃত্তি সমুহের পরিবর্তে আল্লাহর দেয়া সদ্বগুণ সমুহ নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করে মানুষকে আল্লাহর গুণে গুণান্বিত করা। আত্মশুদ্ধি  অর্জন করে সকল প্রকার নৈতিক অবক্ষয় রোধ করে সমাজ শুদ্ধি করাই তাসাউফ শিক্ষার উদ্দেশ্য। পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদ দমন করতে, তাসাউফ শিক্ষার বিকল্প নেই। শুধুমাত্র তাসাউফ শিক্ষাই সারা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। তাই বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে কোন তাসাউফ পন্থি মানুষ আমাদের কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত হতে পারবেন। তাসাউফ ফাউন্ডেশন এই ভিশন ও দর্শন নিয়ে প্রি-স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত “তাসাউফ শিক্ষা” নামে একটি শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়, যাতে নৈতিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সকল শিক্ষার্থী একই মানের শিক্ষিত হয়। তাতে এক নৈতিক পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতি বিনির্মাণ হবে। তাসাউফ ফাউন্ডেশন নিজ উদ্যেগে অপ্রাতিষ্ঠানিক ভাবে তাসাউফ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ নর-নারী এই কার্যক্রমের আওতাভুক্ত।

নৈতিক মূল্যবোধ Moral Ethics & Values:

আত্মশুদ্ধি লাভের শিক্ষা Education on Self-purification