TASAUF FOUNDATION
TASAUF FOUNDATION
A Nonprofit & Nonpolitical Organization, Under Societies Registration Act 1860.
তাসাউফ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ২০১০ সনের মার্চ মাসে প্রবর্তিত একটি সাপ্তাহিক দোয়ার মাহফিল যা প্রতি শুক্রবার আসর হতে মাগরিব পর্যন্ত সময়কালে একজন আলে রাসূলের উপস্থিতিতে পরিচালিত হয়।
মুস্তাজাবুদ দাওয়াত কি?
“মুস্তাজাবুদ দাওয়াত” অর্থ যার দোয়া কবুল হয়। এটি তাসাউফ ফাউন্ডেশন কর্তৃক ২০১০ সনের মোর্চ মাসে প্রবর্তিত একটি সাপ্তাহিক দোয়ার মাহফিল যা প্রতি শুক্রবার আসর হতে মাগরিব পর্যন্ত সময়কালে একজন আলে রাসূলের উপস্থিতিতে পরিচালিত হয়।
কেন জুম’আর দিন আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত মুস্তাজাবুদ্দাওয়াত মাহফিল?
حدثنا مُسَدَّدٌ حدثنا إِسْمَاعِيلُ بن إبراهيم أخبرنا أَيُّوبُ عن مُحَمَّدٍ عن أبي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه قال قال أبو الْقَاسِمِ في يَوْمِ الْجُمُعَةِ سَاعَةٌ لَا يُوَافِقُهَا مُسْلِمٌ وهو قَائِمٌ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ خَيْرًا إلا أَعْطَاهُ وقال بيده قُلْنَا يُقَلِّلُهَا يُزَهِّدُهَا
হযরত আবু হোরায়রা (রঃ) হতে বর্ণিত, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) জুমআর দিন সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, জুমআর দিনে এমন একটা সময় আছে, সেই সময় যদি কোন মুমিন সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট কায়মনে দোয়া করে কিছু চান, তাহলে মহান আল্লাহ্ তা’আলা অবশ্যই তাকে তা দিয়ে থাকেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) সে দিকে হাত দ্বারা ইঙ্গিত করে বলেন, তা খুব স্বল্প সময়। সূত্র: সহীহ বোখারী, হাদীস আরবী # ৮৯৩, ৪৯৮৮, ৬০৩৭ বাংলা # ৮৮৮, ৪৯১৩, ৫৯৫৮। এই হাদীসটি বোখারী শরীফে তিনবার এছাড়া সহীহ মুসলিম, সুনান নাসায়ী, তাফসীরে ইবনে কাসীর আয়াত ৩:১৬-১৭ ।
মুস্তাজাবুদ দাওয়াতের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য:
দোয়া বা প্রার্থনা হচ্ছে এবাদতের মূল (মগজ)। দোয়া স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্য যে নিবিড়তা ও বন্ধন তৈরী করে তা অন্য কোন এবাদতের মাধ্যমে সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তার বিশাল ধনভান্ডার নিয়ে আমাদের মনের তামান্না, ইচ্ছা, আকাঙ্খা, ও হাজত পূরনের জন্য আমাদেরকে ডাকতে থাকে, আমরাও তাঁর কাছে আমাদের হাজত পূরনের জন্য তাঁর নিকট বার বার প্রার্থনা করতে থাকি। কিন্তু দোয়া ক্ববুল হওয়ার সময় জ্ঞান ও শর্তসমূহ সঠিক পন্থায় পালন না করায় আমাদের প্রার্থনা প্রায়ই ব্যর্থতায় পরিণত হয়। তাসাউফ ফাউন্ডেশন কোরআন ও হাদিসের আলোকে প্রার্থনা ক্ববুল হওয়ার জন্য উত্তম সময় নির্বাচন, সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া সমূহ নির্বাচন, প্রার্থনা ক্ববুলের শর্তসমূহ ও পদ্ধতিসমূহ শিক্ষাদান ইত্যাদির সমন্বয়ে মুস্তাজাবুদ দাওয়াত মাহফিল টি পরিচালনা করে। ফলত গত কয়েক বছরে শত শত মানুষের হাজত এই মাহফিলে অংশগ্রহনের মাধ্যমে পূরন হয়েছে যার অসংখ্য বক্তব্যের ডকুমেন্টারী আমাদের রয়েছে।
একটা জনশ্রুতি আছে,
আল্লাহ্ তোমায় ডাকতে জানি না,
ডাকার মত ডাকলে প্রভু কেমনে শোনে না।
তাই রাব্বুল আলামিন যাতে আমাদের ডাকে সাড়া দেন তেমন একটা দ্বীনি মাহফিল হচ্ছে মুস্তাজাবুদ দাওয়াত। এখানে বলতে চাই,
কেউ ফেরে না খালি হাতে
মুস্তাজাবুদ দাওয়াত হতে।।
প্রশ্ন হতে পারে, আল্লাহ্ সামিউল আলিম, অন্তর্যামি, সর্বত্র বিরাজমান, তবে সময় জ্ঞান বা সময় নির্ধারন কি প্রয়োজন?
আসলে স্রস্টার সক্রিয়তা সময় এর উপর নির্ভর করে। সময় স্রস্টার প্রাপ্তিতে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিতাবে রয়েছে সময়ের কারণে ভাগ্যবানও ভাগ্যহীন হয়ে যায়।। ট্রেন যেমন ট্রেনলাইন দিয়ে চলে কিন্তু তাকে ধরতে হলে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্টেশনে থাকতে হয়, স্রষ্টা কে পেতে হলে, ইচ্ছা পূরনের জন্য বিশেষ কিছু সময়ে প্রার্থনা করতে হয়। দোয়া স্বতন্ত্র একটি ইবাদত। আল্লাহর কাছে মানুষ যত চাইবে আল্লাহ তত দেবেন। আল্লাহ চান বান্দা প্রতিটি বিষয়ে তার কাছে প্রার্থনা করুক। বান্দা যত চায় আল্লাহ তাতে তত খুশি হন। তবে দোয়া ক্ববুলের জন্য কিছু নির্দিষ্ট শর্ত ও আদব আছে। নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে দোয়া করলে আশা করা যায় আল্লাহ্ তা’আলা তা ক্ববুল করবেন। দোয়া ক্ববুলের জন্য দিন রাতের মাঝে এমন অনেক সময় ও মুহূর্ত রয়েছে, যে সময় দোয়া করলে তা ক্ববুল হয় বলে সহীহ হাদিসে বিভিন্নভাবে বলা হয়েছে। দোয়া ক্ববুলের কয়েকটি মুহূর্তের কথা এখানে আলোচনা করা হলো। কোরআন ও হাদিসের আলোকে যে সময় সমুহে দোয়া ক্ববুল হবেঃ
প্রথমত রাতের দোয়াঃ (১) প্রত্যেক রাতের শেষ প্রহরের দোয়া (২) জুম’আর রাত (৩) ঈদুল আযহার রাত (৪) ঈদুল ফিতর (৫) রজব মাসের প্রথম রাত (৬) শাবান মাসের মধ্য রাত (৭) লাইলাতুল ক্বদরের রাতের দোয়া (৮) রাতে ঘুম থেকে সজাগ হওয়ার পর দোয়া।।
দ্বিতীয়ত দিনের দোয়াঃ (১) জুম’আর দিন আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত দোয়া (২) দ্বিপ্রহরের পর সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়লে দোয়া (৩) ইমামের জুম’আর খোতবা দেয়ার সময় দোয়া (৪) আরাফার দিনের দোয়া (৫) হজ্ব ও উমরার সময়ের দোয়া
বিভিন্ন সময়ের দোয়াঃ (১) আযান এবং একামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া- (২) ইফতারের পূর্ব মুহূর্তের দোয়া- (৩) জমজমের পানি পান করার সময় দোয়া মাক্ববুল (৪) বৃষ্টি পড়ার সময় দোয়া- (৫) মোরগ ডাকার সময় দোয়া (৭) শ্বাস প্রশ্বাস পরিবর্তনের সন্ধিক্ষনে দোয়া।
তৃতীয়ত বিভিন্ন ব্যক্তি দোয়াঃ (১) পিতা মাতার দোয়া (সন্তানের জন্য) (২) মুসাফিরের দোয়া, (৩) মাযলুমের দোয়া (৪) নেক সন্তান কর্তৃক পিতামাতার জন্য দোয়া (৫) অসুস্থ ব্যক্তি সামনে দোয়া (৬) মৃত ব্যক্তির সামনে দোয়া (৭) নবী ও ওলীগণের দোয়া।
কেন ঊনিশটি সময়জ্ঞান থাকার পরও দোয়া ক্ববুল হয় না!
আমরা এখানে উনিশটি সময় জ্ঞান ও সাত ধরণের বক্তির দোয়া মাক্ববুল হওয়ার বিষয়টি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। তারপরও আমাদের দোয়া ক্ববুল হচ্ছে না। কারণ আমরা দায়রাতুল বুরুজ সম্পর্কে অবহিত নই। সূর্য তার নিজ কক্ষপথে যাতায়তের ফলে সময়ের যে চিত্র অংকিত হয় তাকে দায়রাতুল বুরুজ বলে। সমস্ত বছরে বারটি বুরুজ তথা বার মাস। প্রতি বছরে ৩৬৫ দিন, প্রতি দিনে ২৪ ঘন্টা। প্রতি দিনরাতে সাতটি সেতারা চব্বিশ ঘন্টায় চক্রাকারে আমাদের দৈনিন্দন কার্যাবলীর উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। সেতারা সমুহের কোনটির প্রভাব উত্তম, কোনটির প্রভার মধ্যম, কোনটির প্রভাব মন্দ। ঊনিশটি সময় জ্ঞান থাকার পরও দোয়া ক্ববুল না হওয়ার যে কারণ তাহচ্ছে দায়রাতুল বুরুজ সম্পর্কে জ্ঞান না থাকা। হাদীসে ঘোষিত উক্ত দোয়া ক্ববুলের সময় যদি জোহল সেতারার সময় হয় তাহলে দোয়া ক্ববুল হবে না। কারণ জোহল হচ্ছে সর্বাধিক মন্দ সময় বা লাহুস আকবার। এসব বিষয়ে যাদের কাছে জ্ঞান রয়েছে তারাই শুধু উত্তম সময় বের করে আনতে পারেন। আর উনারা হচ্ছেন প্রকৃত আহলে জিকির।
কিছু বান্দার প্রার্থনা কেন ক্ববুল হয়?
এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষনীয় যে, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এমন কিছু বান্দা রয়েছেন যারা আল্লাহর কান হয়ে যান যদ্বারা আল্লাহ তা’আলা শুনেন। তাঁদের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট প্রার্থনার ব্যাপারে হাদীসে বলা হয়েছেঃ
৬১৩৭ حدثني محمد بن عُثْمَانَ بن كَرَامَةَ حدثنا خَالِدُ بن مَخْلَدٍ حدثنا سُلَيْمَانُ بن بِلَالٍ حدثني شَرِيكُ بن عبد اللَّهِ بن أبي نَمِرٍ عن عَطَاءٍ عن أبي هُرَيْرَةَ قال قال رسول اللَّهِ r إِنَّ اللَّهَ قال من عَادَى لي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وما تَقَرَّبَ إلي عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إلي مِمَّا افْتَرَضْتُ عليه وما يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إلي بِالنَّوَافِلِ حتى أُحِبَّهُ فإذا أَحْبَبْتُهُ كنت سَمْعَهُ الذي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الذي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ التي يَبْطِشُ بها وَرِجْلَهُ التي يَمْشِي بها وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ وما تَرَدَّدْتُ عن شَيْءٍ أنا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عن نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وأنا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ ০ صحيح البخاري ج:5 ص:2384
হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) এরশাদ করেছেন, মহান আল্লাহ্ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন ওলীর সাথে শত্রুতা পোষন করবে, আমি তার বিরুদ্ধে অবশ্যই যুদ্ধ ঘোষণা করব। আমি যা কিছু আমার বান্দার উপর ফরজ করে দিয়েছি, তা দ্বারা কোন বান্দা আমার নৈকট্য লাভ করতে পারবে না। বরং বান্দা সর্বদা নফল এবাদত দ্বারাই আমার নৈকট্য লাভে সক্ষম হবে। অবশেষে আমি তাকে ভালবাসতে থাকি। এমনকি আমি তার কান হয়ে যাই, যা দ্বারা সে শুনতে পায় (কুনতু সামআহুল লাজী ইয়াশমাউু বিহি)। আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দ্বারা সে দেখতে পায় । আমি তার হাত হয়ে যাই, যা দ্বারা সে স্পর্শ করে । আমি তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলাফিরা করে। আর সে যদি আমার নিকট কিছু প্রার্থণা করে, আমি তাকে অবশ্যই প্রদান করি। আমি যা করতে চাই, তা করতে কোন দ্বিধা সংকোচ করি না যতটা দ্বিধা সংকোচ করি একজন মু’মিনের জীবন সর্ম্পকে। কেননা, সে মৃত্যু অপছন্দ করে, অথচ আমি তার কষ্ট অপছন্দ করি। সূত্রঃ সহীহ বোখারী, হাদীস আরবী # ৬১৩৭ বাংলা # ৬০৫৮।
SAHIH BUKHARI, Book 76, Number 509: TO MAKE THE HEART TENDER (AR-RIQAQ).
Narrated Abu Huraira: Allah’s Apostle said, “Allah said, ‘I will declare war against him who shows hostility to a pious worshipper of Mine. And the most beloved things with which My slave comes nearer to Me, is what I have enjoined upon him; and My slave keeps on oming closer to Me through performing Nawafil (praying or doing extra deeds besides what is obligatory) till I love him, so I become his sense of hearing with which he hears, and his sense of sight with which he sees, and his hand with which he grips, and his leg with which he walks; and if he asks Me, I will give him, and if he asks My protection (Refuge), I will protect him; (i.e. give him My Refuge) and I do not hesitate to do anything as I hesitate to take the soul of the believer, for he hates death, and I hate to disappoint him.”
قال قال رسول الله r الأبدال في أمتي ثلاثون بهم تقوم الأرض وبهم تمطرون وبهم تنصرون ০ كنز العمال ج:12 ص:84
“আমার উম্মতের মধ্যে ত্রিশজন আবদাল হবে। তাঁদের কারণে পৃথিবী কায়েম থাকবে, তাঁদের কারণে বৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং তাঁদের কারণে সাহায্য দেওয়া হবে সুত্রঃ কানযুল উম্মাল”।
তাসাউফ ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মুস্তাজাবুদ্দাওয়াত মাহফিলটি প্রতি জুম’আর দিন আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত দোয়া ক্ববুলের সময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মাহফিলে একজন আহলে জিকির স্বশরীরে উপস্থিত থাকেন। আমরা মনে করি আলহাদী আল্লাহর ওসীলাহ হিসাবে উক্ত মাহফিলে আমাদের বার্তা সমুহ ক্ববুল হওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট মুনাজাত করেন।।
পাস আনপাস জিকির বা ব্রিদিং প্র্যাকটিস ও মেডিটেশন বা মোরক্বাবার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়, এর পর নির্বাচিত আয়াত সমূহ পাঠ ও জিকির আজকার শুরু হয়। অতঃপর তাসাউফ ফাউন্ডেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান, আহলে জিকির আলহাদী সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন “দোয়া ক্ববুল” হওয়ার ব্যপারে তাঁর মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেন, পাঠকগণের জানার সুবিধার্তে বক্তব্যের সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করা হলো।
পৃথিবীতে অনেক উল্ল্যখযোগ্য সময়ের মধ্যে প্রায় ১৯ টি সময় আছে যা দোয়া ক্ববুলের জন্য উপযুক্ত। এর মধ্য কিছু সময় রাতে কিছু সময় দিনে। সঠিক সময় জ্ঞান না থাকায় তিনি বলেন, লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ দোয়া করলেও তা কবুল হচ্ছে না। তিনি বলেন সময়জ্ঞানের ব্যাপারে অনেক আধ্যাত্মিক বিষয় সমূহ উপস্থাপন করেন। দায়রাতুল বুরুজ ও সেতারাসমূহের বিষয়ে যারা প্রজ্ঞাবান তাঁরাই উপযুক্ত সময় সম্পর্কে অবহিত। এছাড়া ছয়প্রকার ব্যক্তি আছেন যাদের দোয়া কবুল হয়। তিনি আরো বলেন স্রস্টার মনোনিত ও প্রিয় কিছু ব্যক্তি আছেন যাদের উসিলায় এবং কারনে দোয়া কবুল হয়। দেশ পরিচালনায় যেমন সরকার থাকে তেমনি প্রকৃতি বা ফিতরাত পরিচালনায় রয়েছে আধ্যাত্মিক সরকার। বিভিন্ন ওলীগণ রয়েছেন যারা “রিজালুল গায়েব” নামে পরিচিত তাঁদের উসিলায় রিজিকের ব্যবস্থা হয়, বৃষ্টি দেয়া হয়, শত্রুদের উপর বিজয় লাভের জন্য সাহায্য করা হয়। এ সকল আবদালুল মোক্কারামিনদের সংস্পর্শ ও উসিলায় নেক মাকসুদ পূর্ণ হয় ও দোয়া ক্ববুল হয়। তিনি আরো বলেন, সময় জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি একজন মানুষ কে সত্যবাদী হওয়া ও হালাল রুজির উপর থাকা জরুরী। এ সকল তথ্যের পাশাপাশি তিনি আরো আধ্যাত্মিক তথ্য প্রদান করেন।
প্রিয় পাঠক, খোদায়ি সালতানাত এর খবর জানতে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে, সময়জ্ঞান ও দায়রাতুল বুরুজ এর জ্ঞান হাসিল করতে, নিজের তামান্নাকে খোদার কাছে পেশ করতে আমরা প্রতি শুক্রবার মুস্তাজাবুদ দাওয়াতে অংশগ্রহন করি। আসুন, আমরা সকলে অন্য মুসলিম ভাইদের কাছে এই সুসংবাদটি পৌছিয়ে দিয়ে দ্বীনের দাওয়াতের কাজে শরীক হয়ে অন্যদের জানার সুযোগ করে দিয়ে আল্লাহর রেজামন্দি হাসিল করি।
For Meditation purpose: 01689111999, 01775014300, 01778066336 , 01763152353
TASAUF FOUNDATION 2010. All rights are reserved.